Halloween Costume ideas 2015

All in one tip and tricks site

প্রেম, ভালোবাসা, বৈধ অবৈধ ও তাঁর সমাধান – পর্ব 2 [শেষ পর্ব]

প্রেম, ভালোবাসা, বৈধ অবৈধ ও তাঁর সমাধান – পর্ব 2 [শেষ পর্ব]

প্রেম, ভালোবাসা, বৈধ অবৈধ ও তাঁর সমাধান – পর্ব 2 [শেষ পর্ব]




 আসসালামু আলাইকুম, আপনাদের সবার জন্য  নিয়ে আসলাম আমার আর্কাইভ থেকে একটা পছন্দের পোষ্ট। এটি 2nd পর্ব। আজকের বিষয়- প্রেম, ভালোবাসা ও বিবাহ, বৈধ অবৈধ ও তাঁর  সমাধান। # Click to see Previous Part 1



এক/
১ নাম্বার পয়েন্টের সমাধানঃ |
সমাধানঃ ইসলাম আপনাকে পছন্দ করতে নিষেধ করেনি, কিন্তু বিবাহ পুর্ব আলাপন, দেখা ডেটিং নিষেধ করে। হয়তো বলবেন – আমরাই তো বিয়ে করবও। না অনেক আছে যারা ৫-১০ বছর প্রেম করের পরও বিয়ে হয়ন। হবে কিভাবে? বিবাহ তো ভাগযের লিখন, লেখা না থাকলে আপনার ইচ্ছায় কি হবে? আর লেখা থাকলে কি আপনা ইচ্ছায় বিবাহ ভাংবে? তাই আগে আগে যা করছে বিয়ের পর সেইটা করলে (মন দেয়া নেয়া) সব দিক থেকে ভালো হয়।
# তাছাড়া দেখবেন — প্রেম করে বিবাহের ঘর ভাঙ্গার সংখ্যা বেশি ও অনেক বেশি, বিদেশে তো ৯০-৯৯ পার্সেন্ট বলা যায়, আর প্রেম বাদে বিবাহের ঘর ভাঙ্গার সংখ্যা ০-৫ পার্সেন্ট। নাই বললেই চলে। এর কারণ হিসেবে ১ টাই কারণ পাওয়া যায় – আমাদের অভিজ্ঞতা নাই, মা বাবার অভিজ্ঞতা আছে। তাঁরা বোঝেন কোন ধরনের মেয়ে বা ছেলে কোথায় ভালো। তাই আমাদের পছন্দের পাশাপাশি মা-বাবার মত এক হওয়া দরকার। হাদিসেও সেই কথাই এসেছে। পছন্দ করতে বা দেখে নিতে বলা হয়েছে। আর মা বাবার অনুমতির বিষয় ও এসেছে বহুবার।


দুই/
২ নাম্বার পয়েন্টের সমাধানঃ
সমাধানঃ. . .এই ভালবাসা হলো আল্লাহকে ভালবাসা. দুনিয়ার কারো প্রতি টান থাকলে সেই কারণ টা হবে “আমি ও নামাজী, সেও নামাজী তাই তাঁর প্রতি টান। আমি ও রোজাদার, সেও রোজাদার তাই তাঁর প্রতি টান” এরকম হবে, কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহর কারনেই ভালোবাসা। এটা বলেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর আলেমগন বলেন “যদি এমন হয় যে – যখন কেউ আমার মত মতো চলে, আমার দল বা হুজুরকে ভালোবাসে তখন তাকে আমি ভালো বাসি, আর সে আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) এর হুকুম মত চলে কিন্তু আমার দল বা আমার হুজুরকে ফলো করেনা তাকে ভালোবাসিনা, তাহলে বুঝতে হবে – আমার মনে আল্লাহর চেয়ে অন্য কিছুর ভালোবাসা বেশি আছে”।
তাই কেউ নিজকে মুসলিম দাবি করলে তার সেইটা করা উচিত যেই প্রকার টা রাসুল [সঃ] করে দেখিয়েছেন, রাসুল [সঃ] কে মুখে দাবি করি যে ভালোবাসি, কিন্তু কাজ একটাও তাঁর মত করিনা, এটা মেকি ভালোবাসা। এটা আবু তালিবের মত ভালো বাসা। আর সবাই ই জানেন আবু তালিবের সেই ভালোবাসা গ্রহনীয় নয়। । অনুসরণ ও অনুকরণ ই ভালোবাসার দাবি – এটাই বাস্তব। একারণেই ইমাম বুখারী রহঃ, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিজি, নাসির উদ্দিন আলবানী, ইমাম আজম রহঃ, ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ কোটি আলেম গনের শত কস্ট – শত শ্রম, জীবন সাধনা শুধু সহীহ হাদীস সংগ্রহ, প্রচারের জন্য।
একটা হাদীস যিনি বর্ণনা করেছেন তা তিনি কার কাছে থেকে শুনলেন, তিন কার কাছে থেকে – তিনি কার কাছ থেকে………এভাবে বর্ণনা রাসুল (সঃ) পর্যন্ত সঠিক ভাবে গেলেই তাঁর হাদিস টা সহীহ কিতাবে লেখা হয়েছে, ভেতরে কেউ বাদ গেলে, বা নিজের শিক্ষক নয় এমন কারো থেকে শোনা হাদিস টাও সহীহ হাদীসে আসেনি। এই ধারা কে সনদ বলে। (আমরা বাঞালি রা হাদীস ই পড়তে চাইনা আর সনদ পড়া, বিভিন্ন দেশে সনদ সহ হাদীস পড়ানো শেখানো হয়)। কেন এত কিছু? কারণ – যাতে একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হুবহু অনুকরণ অনুসরণ করা যায়, এর ফলে তাঁর প্রতি ভালবাসার প্রমান রাখা যায়। মনে রাখবেন – যে কাজটা হাদিসে পাওয়া যায়না সেই কাজ যতই ভালো দেখাক, তা করে রাসুল (সঃ) এর প্রতি ভালোবাসা প্রমান করা যায়না, তা করে নিজের নফসের প্রতি ভালোবাসা প্রমান করা যায়। এমনকি যে কাজ হাদিসে আছে কিন্তু সেই কাজ পালনের যে পদ্ধতি হাদিসে পাওয়া যায়না, সেই পদ্ধতিতে (নিজের বানানো পদ্ধতিতে) কাজ করেও রাসুল (সঃ) এর প্রতি ভালোবাসা প্রমানিত হয়না। আমি কোন উদাহরণ দিচ্ছিনা কারন তর্ক বিতর্ক হতে পারে। উদাহরণ সহ দেখতে কয়েকজন আলেমের বই পড়তে পারেন। (আমার প্রফাইলে লেখা আছে) আর সমাজে যে কাজের যে সিস্টেম দেখবেন তাও হাদিসে সরাসররী মিলিয়ে দেখতে পারেন।
Labels:

Post a Comment

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget